Before announcing the winners, we are posting the top five entries (complete storie) on the blog one by one. Hope you enjoy reading them!
Author: Jaya
Bengali Translation of “The Golden Bird” for IML Day Drive
By Santwana Chatterjee
All entries to our IML Day Drive are licensed under CC BY 3.0
সোনার পাখী
অনেক অনেক বছর আগে এক যে ছিল দেশ আর সেই দেশে ছিল এক মস্ত বড় রাজা, তার মস্ত বড় রাজ্য । রাজ্যটি ভারি সুন্দর। রাজার রাজত্যে সবাই খুশী, রাজা মশাই ভারি ভালো মানুষ । তিনি প্রজাদের খুব সুখে রেখেছেন। সে রাজ্যে ক্ষেতে কত ধান, মাঠে কত ঘাস, সেখানে রাখাল হাতে বাঁশি বাজায়। গাছে ঘাছে পাখি ডাকে । রাজার মনে শুধু একটি দু;খ, তার কোনো সন্তান নেই । রাজার আর সবই আছে, হাতি শালে হাতি, ঘোরা শালে ঘোরা, সোনা, রুপা, সৈন্যা, সামন্ত কি নেই । রাজার সব থেকে প্রিয় হল তাঁর বাগান। সে এক মস্ত বড় বাগান ; রাজার বাগান বলে কথা । শুধু মাপে নয়, সেই বাগানে কি নেই ! ছিল নানান রঙের ফুলের মেলা, সেখানে নানান প্রজাপতি ঊড়ে বেড়ায়, নানান পাখির ডাক। আর ছিল ফলের বাগান , সেখানে আম, জাম, কলা, সব রকম ফল । তবে সবার থেকে আশ্চর্য ছিল একটি আপেল গাছ । এমন গাছ কেউ কোথাও দেখেনি । সেই গাছে থরে থরে ঝুলে থাকত আপেল, না , লাল টুক টুকে নয়, একদম সোনালি ঝকে ঝকে , রোদে ঝল মলে সেই গাছে ফলত আসল সোনার আপেল ।শুনেছ এমন কথা কেউ । তা রাজা সেই আপেল গাছের প্রতি বড় মায়া । সক্কালে উঠেই রাজার মালী গিয়ে গুনে দেখত গাছে কটা আপেল । পরের দিন আবার গোনা- পাছে সে আপেল কেউ যায় নিয়ে । এক সকালে তো মালীর চোখ কপালে । গাছে যে কাল রাতের থেকে একটি আপেল কম । ভয়ে মালীর বুকের ভিতর কাঁপুনি । হায় এমন বে আক্কেলে কাজ কে করলে, কেমন করে রাজাকে গিয়ে বলি । ভয়ে হাঁটু ঠক ঠক, জিভ শুকিয়ে কাঠ, মালী গিয়ে রাজার পায়ের কাছে আছড়ে পড়ল। রাজা মশাই অনর্থ হয়ে গেছে । গাছ থেকে একটি সোনার আপেল চুরি হয়ে গেছে ।
রাজা মশাই তো রেগে লাল । কার এত বড় সাহস , রাজার বাগানে চুরি । মালী তুমি সারা রাত জেগে পাহারা দাও গাছ তলায় । কাল আমার চোর চাই । মালীর বয়স হয়েছে, সে বেচারি সারা রাত খেটে রাতে কেমন করে জেগে থাকে । তবু রাজার আদেশ অমান্য করা যায় না তাই তার বড় ছেলেটিকে ডেকে মালী বললে- বাপধন, তুমি আজ সারা রাত
আপেল গাছের তলায় জেগে থেক, যেমনি দেখবে চোর, চিৎকার করে উঠ- সিপাহি নিয়ে ঘিরে ধরব এক্কেবারে । পালাবার পথ পাবেনা কোথাও । মালীর তিন ছেলে, বড় ছেলে লাল কমল, মেজ ছেলে নীল কমল আর ছোট ছেলে স্বর্ণকমল । লাল কমল রাতের খাওয়া সেরে গাছের তলায় গিয়ে বসে । রাত বাড়তে থাকে, চারি দিক নিঝুম হয়ে আসে, অন্ধকার ঘন হয়ে ছেয়ে ফেলে , প্রাসাদের আলো একে একে নিভে যায় , তবু সে তির ধনুক হাতে বসে থাকে । রাতে গড়িয়ে চলে ধীরে ধীরে মধ্যরাতে আকাশে তারারা চোখ টেপা টিপি করে, দুরে ঘড়িতে বারটা বেজে ওঠে আর কোথা থেকে একরাশ ঘুম এসে বড় ছেলে কে ছেয়ে ফেলে । বেচারি গাছের তলায় শুয়ে ঘুমের কোলে ঢলে পরে ।
পর দিন সকালে সবাই দেখে আপেল গাছে আবার একটি সোনার আপেল চুরি গেছে । রাজা মালিকে ডেকে বলেন –মালী তোমার এ কেমন ব্যাবহার , চোর ধরতে গিয়ে ঘুমিয়ে কাদা । তোমাকে আর একবার সুযোগ দিলাম, আজ রাতে নিশ্চয় চোর ধরা চাই, নইলে তোমার গর্দান যাবে । মালী ছুটতে ছুটতে বাড়ি এসে মেজ ছেলেটিকে বলে, বাপ আমার,
আমি বুড় হয়েছি, তোমার দাদা তো পারল না, আজ তুমি একবার গিয়ে দেখ, চোর যেন পালায় না। ঘুম এলে চোখে ঠাণ্ডা জলের ঝাপট মের, কিন্তু খবর্দার ঘুমিও না , এই বলে মালী এক ঘটি ঠাণ্ডা জলের সাথে নীল কমলকে পাঠালে রাত জাগতে । কিন্তু কি আশ্চর্য, রাত যেই বারটা , অমনি রাজ্যের ঘুম এসে মেজ ছেলেটিকে জোর করে ঘুম পাড়িয়ে দিলে । পরের দিন সকালে ফের চুরি ধরা পরতে রাজা সিপাহি কে ডেকে বললেন যাও মালিকে গারদে পোর, এমন অপদার্থ একটা রাত জেগে থাকতে পারেনা । বাগানের মালী, পাঁচটা না ছটা নয় একটা সোনার আপেল গাছ, সে গাছের আপেল রক্ষা করতে পারেনা । কাল এর গর্দান যাবে । সে সময় মালীর ছোট ছেলে, স্বর্ন কমল এসে রাজার পায়ে লুটিয়ে পড়লে । কেঁদে বলে, মশাই আমার বাবা কে ছেড়ে দিন, দয়া করুন । আমি কথা দিচ্ছি আজ আমি নিজে গাছের তলায় জেগে রাত কাটাব । আজ আপনার চোর ধরা পরবেই । না হলে কাল আপনি যেমন ইচ্ছে তেমন শাস্তি দেবেন । মালীর ছোট ছেলের যেমন নাম তেমনি রূপ , ঠিক যেন এক দেব দুত । তেমনি তার স্বভাব। রাজ্যের ছোট বড় সবাই তাকে ভালবাসে। লম্বা-চয়ড়া যোয়ান ছেলেটির এক মাথা কালো চুল, নাক খানি ধারাল, ভাসা ভাস স্বপ্নালু , মায়ামাখা দুটি চোখে, বুদ্ধির ছাপ। রাজা বললেন ঠিক কথা, তবে তাই হক ।
মালী তো বাড়ি ফিরে ছোট ছেলেকে জরিয়ে ধরল । না বাবা, তুই রাত জাগিস না, তাতে আমার যাই হক । এ নিশ্চয় কোন মায়াবীর কাজ, ঘুম পাড়িয়ে চুরি করে । তুই আমার বড় আদরের আমার বুকের ধন । এমন বিপদের মুখে তোকে আমি যেতে দেবনা রে ।
ছোট ছেলে অনেক বুঝিয়ে , অনেক আবেদন করে, অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাবার কাছে রাত জাগার অনুমতি আদায় করলে । মালী বললে, ঠিক আছে তুই যখন এত করে বলছিস আমি তোকে আপেল গাছে পাহারা দিতে দেব, কিন্তু তোকে আমার এই তির ধনুক দিলাম । সারা রাত একে পাশে রাখবি, একবারের জন্য শুবি না , ঘুমে এলে পায়চারি করবি । সে রাতে ছোট ছেলে তির-ধনুক হাতে সোনার আপেল পাহারা দিতে গেল । রাত যত বাড়ে, ছেলের চোখ তত জুড়িয়ে আসে । ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা হাওয়া যেন গায়ে , মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে । পা টন টন করে ওঠে , কিন্তু বাবা কে কথা দিয়েছে, তাই সে একটি বারের জন্য শুয়ে আরাম করেনা । অতি কষ্টে জেগে কাটায় সে । রাত যখন বারটা , ছেলেটি তাকিয়ে দেখে একটি সোনার পাখি আপেল গাছ থেকে একটি আপেল মুখে নিয়ে উড়ে যাচ্ছে । যেমনি দেখা অমনি পাখি লক্ষ করে তির চালায় সে । তির গিয়ে সোনার পাখির ডানায় লাগে । কিন্তু কি আশ্চর্য , তির পাখির কোন ক্ষতি করতে পারেনা , কেবল তার ডানা থেকে এক খানি পালক খসে পরে, আর সে অপূর্ব সোনার পাখি সোনার আপেল মুখে করে উড়ে যায় ।
মালীর ছেলে সকাল সকাল রাজ প্রাসাদে গিয়ে ্রাজা মশাই কে সোনার পালকটি দিয়ে সব কথা শোনায় । অমনি রাজা সভা ডাকেন, রাজার যত মন্ত্রী, যত আমলা, যত পন্ডিত সবার কাছে তলব যায় , বিশেষ সভা বসবে । মন্ত্রীরা, আমলারা , পন্ডিতেরা সভা বেশ পরে এসে হাজির । রাজার কাছে সব কথা শুনে আর সোনার পালক দেখে , সবাই বলে, এই পালক টি এমনই মূল্যবান যে রাজার সকল সম্পত্তি একত্র করলেও সোনার পালকটির থেকে তার মূল্য কম হবে । কিন্তু রাজা মশাই তো রাজা মশাই । তিনি বললেন আমার পুর সোনার পাখি চাই । যে এনে দেবে তাকে তিনি একশ সোনার মোহর পুরস্কার দেবেন । শুনে মালীর বড় ছেলে চলল সেই সোনার পাখির সন্ধানে । সে মনে করলে এ বুঝি ভারি সহজ কাজ । যেতে যেতে সে একটি জংগলের সামনে এসে দাঁড়াল । চেয়ে দেখে জংগলটির এক পাশে এক শেয়াল বসে । দেখেই সে হাতে তির ধনুক নিয়ে শিয়ালটির দিকে তাক করে । শিয়ালটি অমনি বলে ওঠে – তুমি আমাকে মেরনা । আমি জানি তুমি কি কাজে চলেছ । আমি তোমাকে সোনার পাখির সন্ধান দিতে পারি ।আমার কথা শুনে চললে তুমি তোমার কাজে সহজেই সফল হবে । তুমি এই রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে সন্ধে নাগাদ একটি গ্রামের ধারে এসে উপস্থিত হবে । সেখানে দুটি যাত্রী নিবাস দেখতে পাবে । একটি পুড়ান , জরাজীর্ণ, অন্ধকার । আর তার ঠিক উলটো দিকে একটি সুন্দর , ঝক ঝকে , নতুন যাত্রী নিবাস । কিন্তু তুমি সেখানে রাত কাটাবে না । তুমি যাবে সেই পুড়ান, জরাজীর্ণ যাত্রী নিবাসে । মালীর বড় ছেলেটি মনে মনে ভাবে এই বনের শিয়াল কি জানে যে এর কথা শুনব । যেমন ভাবা তেমন কাজ । শিয়াল লক্ষ করে সে তির চালায় । কিন্তু শিয়ালটি চালাক , সে পিছন ফিরে দ্রুত, লেজ তুলে বনের ভিতর মিলিয়ে যায় ।হাঁটতে হাঁটতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে, আর ছেলেটি দেখে সে এক গ্রামের সীমানায় এসে পৌঁছেছে আর ঐ তো সামনেই শিয়ালটির কথা মত দুটি যাত্রী-নিবাস . একটি বিশাল বিলাসবহুল, সাজান , গোছান , আলো ঝলমলে বাড়ি, সেখান থেকে বহু লোকজনের হাসি, গানের আওয়াজ এসে পৌঁছায় তার কানে, আর তার ঠিক উল্টো দিকে একটি জরাজীর্ণ , টিম টিমে আলো জ্বলা, নংরা মতন একটি আবাস । ছেলেটি মনে মনে ভাবে –কোন বোকা এই আনন্দময় ,আলো ঝলমলে পরিবেশ ছেড়ে, অমন একটি নিরানন্দ, অন্ধকার স্থানে যায় । এই ভেবে সে সেখানে প্রবেশ করে । সেখানে প্রচুর সুখাদ্য, নানান পানিয়, সুবেশী নারী, পুরুষ, সকলেই আমোদ, আহ্লাদে মত্ত । তাদের সাথে মালীর বড় ছেলেও আমোদ, প্রমোদে লিপ্ত হয় । দিন যায় দিন আসে, কিন্তু তার মন আর সে স্থান ছেড়ে যেতে চায়না । ক্রমে ক্রমে বছর গড়িয়ে যায়, ছেলেটি তার পূর্ব কথা সবই ভুলতে বসে । তার নিজের দেশ, তার নিজের পরিচয়, সেই সোনার পাখি যার সন্ধানে সে এতদূর এসেছে কিছুই আর তার মনে থাকেনা ।
বাড়িতে তার স্বজন ,পরিজন, বাবা, ভাই সকলেই চিন্তিত হয়ে পরে । অবশেষে উপায়ন্তর না দেখে , মালীর মেজ ছেলে সোনার পাখির এবং তার দাদার সন্ধানে বেড়িয়ে পরে । ঠিক বড় ভাইয়ের মতন তারও সেই শিয়ালের সঙ্গে দেখা হয়, দাদার মতনই শিয়াল তাকে দুটি বিপরীত যাত্রিনিবাসের কথা বলে এবং একই উপদেশ দেয় । আর দাদার মতন মেজ ভাই শিয়াল লক্ষ করে তির ছোঁড়ে । কিন্তু সে লক্ষ ভ্রষ্ট হয় ।মেজ ভাই যখন এসে সে গ্রামের ধারে দুটি যাত্রী-নিবাসের কাছে এসে উপস্থিত হয়, তখন তার বড় ভাই জানালা থেকে তাকে দেখতে পেয়ে ছুটে আসে । ভাই কে দেখে তার ভাই এর কথা মনে পরে – ডেকে বলে আয় ভাই আয়, আমার কাছে আয় , এই খানে অনেক কিছু আছে, তোর কি চাই তুই সব পাবি । মেজ ভাই শিয়ালের উপদেশ ভোলে নি, কিন্তু দাদার ডাক সে অগ্রাহ্য করতে পারেনা । মনে মনে ভাবে এত আলো, এত নাচ গান, এত খানা-পিনা, দাদাও আছে, একবার গিয়ে দেখি । কিন্তু একবার যে সেখানে যায় , সে আর ফিরতে পারেনা । মেজ ভাই ও দাদার মতন তার সকল পূর্ব কথা বিস্মৃত হয়ে, সুখে দিন কাটাতে থাকে । তার মনেও পড়েনা , ঘরে তার বুড়ো বাবা তার পথ চেয়ে বসে আছে । মনেও থাকেনা এক আশ্চর্য সোনার পাখির সন্ধানে সে পথে বেড়িয়েছিল । এই ভাবে মাস, যায়, বছর যায়, দুই ভাই দেশে ফেরার কথা মনেও করেনা ।
অবশেষে আর থাকতে না পেরে মালীর ছোট ছেলে বললে বাবা এবার আমায় একবার চেষ্টা করতে দাও । আমি সোনার পাখির সন্ধান নিয়ে আসি । মালী তো কিছুতেই ছাড়বেনা – না বাপ , না , তুই আমার চোখের মনি, বুকের ধন, আমার সব গেছে, তোকে আমি কিছুতেই হারাতে পারবনা । দেখ তোর দাদারা গেলে তো গেল আর ফিরে এলনা । না জানি কোন মায়াবী তাদের মায়া করেছে, কোন দানব তাদের ক্ষতি করেছে । তারা পারলেনা, তুই কি করে পারবি । চাই না সোনার পাখি, চাইনা পুরস্কার , তুই আমার ঘরের ছেলে ঘরে থাক । কিন্তু ছেলে কিছুতে বাগ মানেনা । একা একা মন খারাপ করে ঘুরে বেড়ায় । খেতে চায় না, শুতে চায় না, তার চোখে কালি পরে । মালী আর পারে না । ছেলে কে ডেকে বলে, আচ্ছা তবে তুই আয় । কিন্তু আমায় কথা দিয়ে যা, সোনার পাখির সন্ধান পাওয়া মাত্র চলে আসবি । তোর দুই দাদার মতন ভিন দেশে হারিয়ে যাবিনা । বাবার পায়ে হাত দিয়ে, আশীর্বাদ নিয়ে ছোট ছেলে সুদিন দেখে সোনার পাখির সন্ধানে বেড়িয়ে পরে ।
বনের কিনারায় এসে সে দেখে এক শিয়াল বসে । দাদাদের মতন শিয়াল তাকেও একই উপদেশ দেয় । শুনে ছেলেটি অনেক ধন্যবাদ দিলে । সে তার দাদাদের মতন তাকে তির ধনুক দিয়ে মারতে যায় না । দেখে শিয়াল বলে – ও ছেলে তুমি আমার পিঠে ওঠ আমি অনেক তাড়া তাড়ি তোমাকে সেখানে পৌঁছে দেব । ছেলে কে পিঠে নিয়ে শিয়াল দৌড় দেয় । দৌড় তো দৌড়, যেন ঝড়ের গতি , হাওয়ায় দুই জনের লোম, ছেলেটির মাথার চুল শন শন ওড়ে । এক নিমিষে, পাথর, জংগল, মাটি, বালি পাড় করে , শিয়াল তাকে সেই গ্রামের কিনারায় এনে দাঁড় করায় । ছট ছেলে শিয়ালের কথা মতন এদিন ওদিক না দেখে, জরাজীর্ণ বাড়িতে প্রবেশ করে । সেখানে খেয়ে দেয়ে সেই রাত সেখানেই বিশ্রাম নেয় । পরের দিন সকাল হতেই শিয়াল এসে হাজির । সে বললে, আমার কথা মন দিয়ে শোন , তুমি সোজা পথে চল এক সময় তুমি একটি বিরাট প্রাসাদ এর সামনে এসে দাঁড়েবে। তার পাশে অনেক সেনা, কিন্তু তারা সবাই ঘুমে অচেতন । তুমি কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে যাবে । সেখানে একটি ঘরে একটি লোহার খাঁচায় তোমার সোনার পাখি বসে আছে । তাকে নিয়ে তুমি বেড়িয়ে আসবে । তার পাশে রয়েছে একটি সোনার খাঁচা । কিন্তু সাবধান তুমি পাখিটাকে খাঁচা থেকে বাড় করার চেষ্টা করোনা । তাহলে বিপদে পরবে । এই বলে ছেলে কে পিঠে নিয়ে ঝড়ের গতিতে শিয়াল চলে, পাহাড়, পর্বত, জংগল পাড়িয়ে । হাওয়ায় দুই জনের গায়ের লোম, ছেলের চুল শন শন ওড়ে । প্রাসাদের সামনে এসে ছেলেটিকে পিঠ থেকে নামিয়ে দেয় । ঐ তো সেনা রা ঘুমে অচেতন । ঐ তো প্রাসাদের সিঁড়ী । ছেলে উপদেশ মতন সিঁড়ি বেয়ে উঠে ঘরটি দেখতে পায় , যেখানে কাঠের খাঁচায় সোনার পাখি বসে । নিচেই একটি সোনার খাঁচা আর তার পাশে তিনটি সোনার আপেল । ছেলেটি ভাবে এমন সুন্দর পাখি, কাঠের খাঁচায় নিয়ে যাব কেন , এত সুন্দর সোনার খাঁচা থাকতে । এই ভেবে সে খাঁচার দরজা খুলে পাখিটি বের করে আনে । আর যায় কোথা, পাখিটি চিৎকার দিয়ে ওঠে, তার সে চিৎকার এ সেনারা জেগে উঠে ছেলেটিকে ধরে ফেলে আর তাকে রাজার কাছে নিয়ে হাজির করে ।
রাজা মশাই পর দিন চোরের বিচার সভা ডাকলেন । তাবড় তাবড় পণ্ডিত, মন্ত্রী, আমলা সবাই বিচার করে রাজার কাছে তাদের অভিমত দিলেন যে ছেলেটি ঘোরতর অন্যায় করেছে, চুরির দোষে দোষী, তাকে উপযুক্ত শাস্তি বিধান দিতে হবে । রাজা তার মৃত্যুর আদেশ দিলেন । তবে রাজা এ ও বললেন যে পাশের রাজার রাজ্যে একটি সোনার ঘোরা আছে, তার গতি যেন হাওয়ার মতন, তার গায়ের থেকে সূর্যের আলো ঠিকরে আসে, অসাধারন সোনার ঘোরা ধরে এনে দিতে পারে, তবে তার শাস্তি মকুব আর শুধু তাই নয়, সোনার পাখি ও তাকে দিয়ে দেওয়া হবে ।
মাথা নত, মন ভারি, ছেলেটি রাস্তায় এসে দাঁড়াল, কেমন করে এমন অসাধ্য কাজ সে সম্পন্ন করবে । কোথায় পাবে সোনার ঘোরা, তার জিয়ন কাঠি । এমন সময় তার সহায়ক সেই শিয়াল এসে হাজির । ছেলেকে ডেকে বললে , দেখলে তো আমার কথা না শোনার কি ফল । তবুও আমি তোমাকে আবার ও সাহায্য করব । তুমি আমার পিঠে উঠে বস, আমি সোজা তোমাকে সেই প্রাসাদে নিয়ে যাব, যেখানে সোনার ঘোরা বাঁধা আছে । তার পাশে তার সহিস নাক ডাকিয়ে ঘুমাচ্ছে । তুমি ঘোরায় জিন দিয়ে তাকে নিয়ে চলে আসবে, সহিসের ঘুম ভাংগবেনা, তোমার কোন ভয় নেই । কিন্তু খবর্দার, তুমি শুধু পুড়ান চামড়ার জিন ঘোরায় চড়াবে, যে সোনার জিন টি কে পাশেই দেখবে তার দিকে তাকাবেও না । এই বলে ছোট ছেলেকে পিঠে নিয়ে ঝড়ের গতিতে উড়ে চলল, সব বাধা, সব পাথর, সব কাঁটা পার করে । এমনি তার গতি যে দুই জনের গায়ের লোম, ছেলেটির মাথার চুল খাড়া হয়ে উড়তে লাগল শন শন শন । প্রাসাদের সামনে এসে শিয়াল তাকে পিঠ থেকে নামিয়ে দিলে । প্রাসাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে ছেলেটি দেখলে ঐ তো আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছে যে সোনার ঘোরা থেকে , তার পাশে নাক ডাকিয়ে ঘুমে অকাতর তার সহিস, ঐ তো সেই অসাধারণ জানোয়ার । কাছে এসে ছেলেটি ঘোরায় জিন দিতে এসে দেখে পাশেই পড়ে রয়েছে সোনার জিন, তার যায়গায় এই ছেঁড়া, বিশ্রী চামড়ার জিন চড়াবে সোনার ঘোরার গায় ? তাই কি কখন হয় ? এমন ঘোরার পিঠে শুধু মাত্র সোনার জিন মানায় এই ভেবে যেই মাত্র সে সোনার জিন হাতে নিয়েছে, সহিস চোখ মেলে তাকাল । তাকিয়েই সে মহা চেঁচামিচি শুরু করে দিল, চোর চোর, ঘোরা চোর । আর যায় কোথা, সব প্রহরী এসে হাজির, ছেলেটির কোমরে দড়ি দিয়ে নিয়ে গেল রাজার সামনে । আবার বিচার সভা, আবার বিচার, আবার ছেলেটি চোর সাব্যস্ত হল । আবার মৃত্যু দণ্ড কিন্তু এবারও তার একটি বাঁচার উপায় দেখা গেল । পাশের রাজ্যে আছে এক অতি অপরূপা রাজকন্যা, তার রূপে স্বর্গের পরীরাও লজ্জা পায় । যদি তাকে সে নিয়ে আসতে পারে তবে সে মুক্ত, সোনার ঘোরা তার । লজ্জিত, অনুতপ্ত ছেলেটি রাস্তায় আবার ও এসে দাঁড়ায় । সে জানে তার অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য, এবার সে বন্ধু শিয়াল কে কেমন করে মুখ দেখাবে ? কেমন করে বাবার কাছে ফিরে যাবে । কিন্তু তার মিত্র শিয়াল তাকে এখনো পরিত্যাগ করেনি । সে এসে বললে, কেন তুমি আমার কথা শুনলেনা বলত । দেখ তো কত মুশকিলে পরেছ । ঠিক আছে এবার ও আমি তোমাকে সাহায্য করব । তুমি সোজা চলে যাও , সন্ধ্যা নাগাদ তুমি এক প্রাসাদের সামনে এসে দাঁড়াবে । সেখানে রাত বারটার সময় রাজকুমারী স্নানঘরে যাবেন, সেই সময় তুমি রাজকুমারী কে একটি একটা লাল গোলাপ দেবে ; এই বলে শিয়াল স্বর্নকমলের হাতে একটি মন্ত্রপুত লাল টক টকে গোলাপ দিল, সে গোলাপের সুগন্ধ চারি দিকে ছেয়ে গেল। তাহলেই রাজকুমারী তোমার সাথে চলে আসতে রাজি হবে। কিন্তু খবর্দার , রাজকুমারী যদি তার বাবা ও মার কাছে বিদায় নিতে যেতে চায় তাহলে কিছুতেই রাজী হবেনা । আবারো শিয়ালের কথা মতন সব কিছু ঠিক তেমনি হয়, ঠিক রাত বারটায় স্নানঘরের কাছে আসতেই স্বর্নকমল দেখে একটি অপরুপ সুন্দরী যুবতী , তার মাথায় মেঘের মতন চুল মেয়ের কোমর ছাড়িয়েছে, তার গায়ের রঙ যেন দুধে-আলতায়, তোর চোখ দুটি যেন বনের হরিনীর মতন, ছোট্ট কপাল, ধনুকের মতন বাঁকা ভ্রু দুখানি, বাঁশির মতন নাক আর গোলাপের পাপড়ির মতন নরম লাল দুটি ঠোঁট । মুগ্ধ স্বর্ন কমল, রাজকুমারীর হাতে লাল গোলাপ দিতে, রাজ-কুমারী ছেলেটির দিকে তাকিয়ে দেখে। আর তখনি দু-জনে দু-জন কে ভালবেসে ফেলে । কিন্তু রাজা তো রাজী হবেন না মালীর ছেলের হাতে রাজকন্যার হাত দিতে, তাই রাজকুমারী তার সঙ্গে পালিয়ে আসতেও রাজী হয় । কিন্তু রাজা , রানীর কাছে থেকে একটি বার বিদায় নেবার জন্য, সে বড় কান্নাকাটি শুরু করে, তার চোখের জলে বুক ভেসে যায়, তবু ছেলেটি রাজি হয়না । কিন্তু যখন রাজকুমারী ছেলেটির পায়ে লুটিয়ে পরে সে আর নিজেকে কঠিন করে রাখতে পারেনা কিছুতেই । কিন্তু যে মাত্র রাজার কাছে বিদায় চাইতে যাওয়া, অমনি রাজা বলে ওঠেন আমি তোমাকে কিছুতেই আমার মেয়ে কে নিয়ে যেতে দেবনা, যদিনা তুমি আমার জানলার সামনে ঐ ছোট্ট পাহাড় টা দেখা যায় সেটা আটদিনের মধ্যে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পার । ঐ পাহাড় টা এতটাই বড় যে সারা জগত চেষ্টা করলেও আটদিনের মাথায় কিছুতেই তাকে ভেঙ্গে গুঁড় করতে পারবেনা । কিন্তু ছেলেটি সাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেটি কে ভাঙ্গার জন্য । আট দিনের দিন , তার বন্ধু শিয়াল এসে বলে – তুমি শুয়ে বিশ্রাম নাও । এবার আমি এটাকে ভাঙ্গব । ছেলেটি এমনি ক্লান্ত সে মাটিতে শোয়া মাত্র ঘুমিয়ে কাদা । সকালে উঠে দেখে কোথাও পাহাড় টার কোন চিহ্ন নেই । ছেলেটি রাজার কাছে এসে দাঁড়াতে, রাজা কি আর করেন নিজের রাজকন্যা ছেলেটির হাতে সমর্পণ করেন । শিয়ালটি বলে, আমার কথা যদি শোন তুমি, রাজকন্যা, সোনার ঘোরা আর সোনার পাখি তিনটিকেই নিজের কাছে রাখতে পারবে । ছেলেটি বললে সেটা কেমন করে সম্ভব ! শিয়াল বুঝিয়ে বলে, তুমি রাজার কাছে গিয়ে রাজকন্যা কে রাজার হাতে দিয়ে সোনার ঘোরায় চড়ে বসবে, তার পর সবার কাছে একে একে বিদায় নেবে, কিন্তু মনে রেখ সবার শেষে রাজকন্যার কাছে আসবে । এসেই রাজকন্যাকে ঘোরায় উঠিয়ে ঘোরা চালিয়ে দেবে । যেমন শোনা তেমন কাজ , রাজকন্যাকে ঘোরায় নিয়ে ছেলে শিয়ালের কাছে এসে হাজির । শিয়াল বলে এবার মন দিয়ে আমার কথা শোন । এবার রাজপ্রাসাদের কাছে এসে আমি রাজকন্যাকে নিয়ে বাইরে অপেক্ষা করব । তুমি রাজার কাছে যাবে ঘোরায় চড়ে । যখন রাজা সোনার পাখি নিয়ে আসবে তুমি বলবে আগে পাখি আমার হাতে দিন, আমি দেখব, এই সেই পাখি কিনা । হাতে পাখি পেলেই তুমি ঘোরা ছুটিয়ে দিও । শিয়ালের কথা মতন রাজকন্যা, আর সোনার পাখি নিয়ে ছেলে সোনার ঘোরায় চড়ে ঘন জংগলের কাছে আবার এসে দাঁড়াল । এবার শেয়াল দেখা দিয়ে বলল, সব কাজই তো হল, তুমি দয়া করে আমাকে মেরে ফেল আর আমার মাথা আর পা গুলো তোমার তরোয়াল দিয়ে ছিন্ন করে দাও । আশ্চর্য ও দুঃখিত স্বরে ছেলে বললে এমন কাজ আমি কিছুতেই করতে পারব না । শিয়াল বললে , তবে তুমি যাও, কিন্তু তোমাকে শেষ কথা বলে যাই, এখান থেকে সোজা তোমার বাড়ি যাও । পথে কোন মানুষের প্রাণ বাঁচাবার জন্য তোমার সর্বস্ব পণ করোনা আর পথে কোন নদীর ধারে বসে বিশ্রাম কর না । ছেলেটি মনে মনে ভাবলে এ আর এমন কি কথা । এ উপদেশ আমি সহজেই মেনে চলতে পারব । চলতে চলতে অবশেষে তারা সেই গ্রামে এসে উপস্থিত হল, যেখানে তার দুই ভাইকে ছেড়ে এসেছিল । গ্রামে এসে শোনে খুব উত্তেজনা, অনেক লোক জন জড়ো হয়ে কিছু বিষয় আলোচনা করছে । কৌতূহলী হয়ে ছেলেটি জানতে চাইল , কিসের জন্য এত উত্তেজনা । লোকেরা জানাল আজ দুটি মানুষের প্রাণদণ্ড হবে , কাড়ন তারা ডাকাত।
ছেলেটি দেখে সেই দুটি মানুষ তারই দুই দাদা । ভাই দাদাদের প্রাণ বাঁচানর জন্য রাজার কাছে আবেদন করলে। রাজা বললেন আমি এদের ছেড়ে দিতে পারি, যদি তুমি তোমার কাছে যত টাকা আছে সব আমায় দিয়ে দাও । দাদাদের জীবন বাঁচানর জন্য ছেলেটির তার সব টাকা পয়সা রাজা কে দিয়ে দাদাদের মুক্ত করল । এর পর তিন ভাই, রাজকন্য, সোনার পাখি আর সোনার ঘোরা নিয়ে নিজের দেশের দিকে যাত্রা শুরু করল । যেতে যেতে গ্রামের কিনারায় জংগলের পাশে একটি শান্তি শীতল, ছোট্টও নদী বয়ে যেতে দেখে তার মনটা একটু বিশ্রাম নেবার জন্য আকুল হয়ে উঠল । এতদিন এত পথে ঘুরে, এত কাজ করে, সে খুবই ক্লান্ত হয়ে পরেছিল, তাই শিয়ালের উপদেশ ভুলে, সেই নদীর ধারে বসে, জলে মুখ, হাত, পা ধুয়ে, ঠাণ্ডা বাতাস খেতে লাগল । হটাত পিছন থেকে এসে তার লোভী ও দুষ্ট বুদ্ধি দাদারা ঠেলে নদীর জলে ফেলে দিল । তাকে জলে ফেলে, দুজনে তাড়াতাড়ি, রাজকন্যা, পাখি আর ঘোরা নিয়ে দেশে ফিরে এলো । তাদের দেখে সবাই খুব খুশী ।রাজা কে গিয়ে তারা বললে মহারাজ, এই দেখুন এ সকল আমরা নিজেরা বুদ্ধি আর পরিশ্রম করে জিতে এনেছি । রাজা খুব জাঁক যমক করে উৎসব শুরু করলেন, গ্রামের সবাই সেখানে নিমন্ত্রিত, নাচ, গান, বাজনা, নানা সুস্বাদু খাবার পরিবেসন করা হল । সবাই খুশি, কিন্তু রাজকন্যা হাসি ভুলে কেবল কাঁদে, পাখি গান করেনা, শুধু চুপটি করে ঘার গোঁজ করে দাঁড়ে বসে থাকে, আর ঘোরা দানাটি মুখে নেয়না । কি ব্যাপার , কি ব্যাপার, সবাই অবাক । সবাই নানা কথা ভাবতে থাকল । ইতি মধ্যে ছোট ছেলে ধাক্কা খেয়ে নদীর তলায় গিয়ে পড়েছে বটে কিন্তু তার হাত, পা সব অক্ষত থাকে । এমন সময় তার সামনে তার শিয়াল বন্ধু এসে হাজির । এবার সে ছেলে কে সামান্য বকুনি দিলে । কেন যে তুমি আমার কথা অমান্য করলে , তাহলে তো তোমার এত কষ্ট হত না । কিন্তু তবু আমি তোমাকে সাহায্য করব । তুমি আমার লেজটা ধর আমি তোমাকে নদীর পাড়ে নিয়ে যাব। যেমন বলা তেমন কাজ , নিমিষের মধ্যে ছোট ছেলেকে নিয়ে শিয়াল উপরে উঠে এলো । কিন্তু সে বললে, দেখ তোমার দুই দাদা চারি দিকে পাহারা বসিয়েছে, তারা তোমাকে দেখতে পালেই, মেরে ফেলবে । তাই তুমি ছদ্মবেশে রাজ প্রাসাদে যাও । এই বলে শিয়াল মিলিয়ে গেল । ছেলেটি একটি ভিখারির মতন সেজে রাজ প্রাসাদে প্রবেশ করলে । প্রাসাদের দরজায় পা রাখতেই, রাজকন্যা কান্না থামিয়ে হাসিমুখে তাকালেন, পাখি গান গাইতে শুরু করল আর ঘোরা দানা মুখে দিল । এবার ছেলেটি রাজার কাছে এসে অকপটে সব কথা জানাতে, রাজা মশাই দুই দাদাকে রাজ্য থেকে নির্বাসন দণ্ড দিলেন । ছেলেটির সংগে রাজকন্যার বিবাহ দিলেন । এদিকে রাজার মালী তো মনের দুঃখে শযাসায়ী । তাকে কঠিন অসুখে ধরেছে । তিন ছেলের ফিরতে দেরী দেখে সে খাওয়া দাওয়া ত্যাগ করেছে । বড় দুই ছেলে ফিরে আসাতে সে খুশী হলেও প্রিয় স্বর্নকমলের জন্য চিন্তায় মৃত্যু শযায় । এমন সময় তার ফিরে আসাতে মালী মনে শান্তি পেলেও তার অসুখ সারাতে পারলনা কোন বদ্যি । একদিন ছোট ছেলের কোলে মাথা রেখে শেষ নিদ্রা ত্যাগ করল । রাজার কোন পুত্র সন্তান ছিল না, নিঃসন্তান রাজা, ছেলেটি কে রাজকন্যার সঙ্গে নিজের প্রাসাদে স্থান দিলেন আর তাঁর মৃত্যুর পরে তাকেই রাজা করবেন বলে তাকে যুবরাজ ঘোষণা করলেন ।
বহুদিন কেটে গেছে, যুবরাজ এখন রাজা, । তিনি বাগানের ধারে পায়চারি করছেন, হটাত তার মিত্র শিয়াল এসে দাঁড়ালে । সে কাঁদতে কাঁদতে যুবরাজ কে মিনতি করতে লাগল, তুমি যদি সত্যি আমার উপকারের প্রতিদান দিতে যাও, তাহলে এই মুহূর্তে আমাকে মেরে ফেল, আমার মাথা এবং দুটি পা আমার দেহ থেক বিচ্ছিন্ন কর । আর তা যদি না কর তাহলে আমি বুঝব তুমি অকৃতজ্ঞ । নিরুপায় ছেলেটি মনের দুঃখে তার মাথা ও দুটি পা কেটে ফেলেলে । অবাক কাণ্ড, মুহূর্তের মধ্যে সেখানে দাঁড়িয়ে এক সুপুরুষ যুবা । আশ্চর্য হয়ে যুবরাজ জিজ্ঞাসা করলেন, কে তুমি আর কেনই বা তুমি শিয়ালের বেশ ধরেছিলে, তুমি কি মায়াবী, যাদুকর ? যুবা হেসে বললে, না বন্ধু আমি তোমার স্ত্রী রাজকুমারীর ভাই । এক সময় আমি একটি দরিদ্র পরিবারকে অনেক কষ্ট দিয়েছি, অন্যায় ভাবে তাদের দেশ থেকে তাড়িয়েছি, সেই পরিবার এক পণ্ডিতের , তিনি আমাকে সাপ দিয়েছিলেন আমি শিয়াল হয়ে থাকব, যদি কোন দিন কোন ভাল মানুষকে বিপদে সাহায্য করি, আর সে আমার মাথা এবং পা কেটে ফেলে তবেই আবার আমি মানুষ । আজ আমি সাপ-মুক্ত হয়েছি ।
রাজ বাড়িতে উতসব শুরু হল । রাজা, রানী, তাদের সন্তানেরা , আর প্রজারা সবাই ধন্য ধন্য করতে লাগল ।
Entries Received for LKNB Contest – VII
Entry Id 1147: Fire’s Sermon by Mohit Sharma
“Shyama!”
This word, this name is placed in my memory with an audio file. Voice of my neighbor Mr. Sumit Talwar calling his wife loud and…Sounding…harsh. Though, Shyama was often heard laughing and seen standing on a balcony smiling. Few neighbors residing close were amazed by such contrasting voices. One thing was sure that she was happy and everyone was unable to decipher Mr. Talwar’s expressions and actions to say that a ‘muscleman’, his every action and word was like a semi-slow motion and surprisingly delicate considering his heavyweight frame. Mr. Talwar’s first impression to many was ignorant and rude. Almost zero social circle, very poor attendance in festive or social gatherings, almost no facial expressions like Rahul Dravid batting on the Fourth Boring day of Cricket test match heading towards a Draw. He works in State Archives Department currently working on ‘Nehru project’, digitizing, preserving and analyzing the documents related to India’s first Prime Minister Late Pandit Jawahar Lal Nehru. Maybe the boring nature of his job was the reason for his inscrutable behavior.
Entry Id 1148: The Platform Ticket by Shashank Teotia
It was 02:05 AM. I had stepped down the last bogey. I could not find Naina in the train. In five minutes, the train would leave Nagpur and the chilly swirling fog would wrap and take away all my hope of meeting her into darkness.
This was the last train that left Nagpur. I looked around. A sea of snoring porters surrounded me. All oblivious to the flurry of activity the platform witnessed when the train had rolled in. Of course, oblivious too to my sorry state.
I sat down on the bench before AS2. She had been traveling in the same compartment, which stood in front of me, the last time I had met her. Since the last four days I had been doing the same routine. Waited for the train to arrive, search for Naina and then sat here on the bench, while the train rumbled away. I would then finish the sandwich I had been carrying for her and then make my move. At that hour, perhaps I would be the only moving soul than the restless pigeons and the flashing light bulbs on the weighing scales.
Oh God! I had been so sure I would find her today. I shifted in the bench, sent out a thousand prayers. I looked around. Platform number 10. She was studying in Hyderabad and I was at Nagpur. She would travel once in two months and we would meet for ten minutes. I would be there waiting for her with coffee and some sandwiches I made. Umpteen times I had asked her not to eat so late but she would just flick her hair and smile back at me.
“And spoil my appetite for these? She would point at the double cheese veg sandwiches. “Never till my dying day yaara!” And we would laugh. Then perhaps we would quietly slip into the arms of the night, trying to forget where we stood. Next to a resting monster, which would carry her away. We created memories in those ten minutes and lived them till we met again.
“I am still mad at you for not meeting me the last time.”
“Naina, you know that I missed the train because of that stupid cow who came in my way when I was coming to the station. I was lucky I got away. I was damn sure the crowd would beat me up for being rude to the cow.” I grinned, “I think you are going to complain to me about it for the rest of my life.”
“That is, if we will remain together for the rest of our lives.”
Entry Id 1149: Fear of Love by Makarand Lohire
Walking on a footpath of Ravindra Nath Tagore Marg, in Nagpur – the tiger capital of India, I saw a lady with a small voice recorder querying the people around her about something. Next to her was a man in typical journalist attire – a shirt and a pair of loose fitting cargos, with a sleeveless jacket over it. He was holding a camera and taking snaps. They seemed to be from the media and considering the ugly looks of the lady in question, they were definitely from the print media. Television news channels rarely hired ordinary looking folk.
In desperate need of publicity, I deliberately slowed down, as I neared them. Chhinka, who was walking beside me moved away hastily. He didn’t like the media.
The ugly lady noticed me and asked “Hey you, do you know who was our first prime minister?”
I realized that this was for some Republic day special column to be printed the next day.
“Ya…its..Pandit Jawaharlal Nehruji.”
Adding ‘ji’ was an attempt to be extra polite as I wanted to be in that column.
She said “Oh great, now tell me one word that links Nehruji and Love?”
On hearing that question, anyone would have replied ‘patriotism’, but for some unknown reason, I uttered “Rose”
-“Rose! That’s quite a different answer.”
The reporter seemed impressed. They then wrapped up their kit and were about to leave. I stopped the lady and asked “Excuse me m’am, where will be this interview printed?”
-“If your words get selected, they will appear in tomorrow’s TOI with your picture.”
Whilst the lady was talking to me, the man next to her snapped my photograph and asked for my name and profession.
I replied “John Perrera. I am a still photographer.”
And then they left.
Entries Received for LKNB Contest – VI
Entry Id 1140: Forever Mine, Forever Yours by Arundhati Khopker
Standing under the blazing sun, she stood looking around as if looking for something. She looked high and low but then in distraction bowed her shoulders as if giving up at the futile attempt. She lifted her hands to her eyes and her shoulders shook in a sobbing motion. “Its useless now, I’ll never find it! What will Dad say?” she exclaimed.. As she turned around to give up her search, she heard someone say, “Excuse me, Ma’am are you searching for something?” Lifting her tear-stained face, her eyes reflected a glow of hope as she turned eagerly around to see the speaker. What she saw was a young man in white slacks, red t-shirt and a diamond ear-ring in his ear glistening in the bright noon sun. “Did you say something to me?” “Yup, you seem to be searching for something very precious and I thought I might help you. Don’t get me wrong, I was just trying to help since I might have found what you seem to have lost.” She looked at him with a quizzing look but he said, “I found this mobile on the bench where you were sitting earlier this morning before the invocation programme.Then you left leaving it here.” She looked at his extended hand to see that her precious mobile was safe and as she grabbed it from him. He looked impishly at her as she stared at him and muttered a brief ‘thank you’. Bowing her head so as not to show her embarrassment, she was about to turn away when a loud flapping of wings sharply brought her head into the direction of the sound. It was a gray and white pigeon with a red band around his neck and a purple string wound around its feet. It flew around both of them taking two turns and then after gazing at her in suspended astonishment, flew away in the near by bushes. She froze but then looked at her savior saying, “What was that?”
Entry Id 1145:You Just Know When You Know by Sumedha Menon
“A Tale of Two cities”- It was one of her favourite books. She had read it so many times, she could narrate it in her sleep. And on this 8 hour flight to India, she wanted to rekindle the romance. She was exhausted, for she had been swamped with work for days and was looking forward to being home after 6 months. Although, to be honest, she was unsure how much time she would actually be able to spend at home. Afterall one of the reasons she was flying back in the first place was to meet and get to know this ‘boy’, before they finally (hopefully) gave their consent to get married to each other. It still seemed a little strange to her, how she had got herself into this whole thing. She never really appreciated the Indian institution of ‘arranged marriages’. The same way she never understood the fuss about ‘blind dates’ .The whole idea of meeting someone with the sole purpose of judging them made her queasy
Not that there was any pressure from her family, for her parents were fairly open minded. But both they and she realized that it was improbable that an ambitious, successful 27 year old Indian lawyer living in London for 5 years and working 60-100 hours a week, would just run into a ‘suitable match’ (as they liked to think, or ‘man of her dreams’ as she did) one fine day. So when her parents had mentioned that a family friend had told them about this ‘eligible boy’, Rudra, she thought what the heck! His background seemed impressive – Kellogg MBA, worked for top tier I-bank, well read, well-travelled, and she liked what she saw of him on Facebook.
Entry Id 1146: Blue Rose by Souvik Das
Polly is already on her way to India. She is my co-researcher in our botany project named “Lucie”. We had been trying hard for more than 4 years now to win the 0.5MM Fr prize money declared by the Belgian Botanical Society for creating the first true sustainable blue rose in the world. In these 4 years we never met, but just shared our research progresses regularly. We believe to be very near to the huge breakthrough. Today the 28th of January, 2005. We plan to succeed by the 7th of Feb, the Rose Day, and gift the whole world the first beautiful blue rose ever.
I called up Polly from my mobile. “Bonjour Madame. How far are you? Pas de problem? Call me as soon you land in Nagpur. I will be waiting at the airport”.
I have a small lab here in Nehru Nagar, Nagpur. My dad, a puritan school teacher, passed away when I was just 10. Since then, it was my mom who brought me up along with my grandfather. My dadaji was a gardener to the great Nehru family. He had seen Jawaharji become the leader, the PM and then expire, but always with a red rose close to his chest. I remember dadaji always telling me “Papa, I have named you after Papa Meilland, a famous exotic breed of dark red French roses, my favourites. You must grow up to become something special amongst others. You must make us proud”. These words rang in my ears. For dadaji is suffering from a rare form of silicosis, helpless, for it is a disease for the very rich. I thought for a moment. We have to succeed. We have to win the prize money. I have to cure my dadaji. My eyes filled up with bitter water.
Polly is a middle class, young botanist. Very talented in flowers, as well as in literature. She has a special likeness for Victorian novelists, esp. Charles Dickens. His ‘Tale of Two Cities’ is her favourite since it portrays Paris and London during the old days. It is after the beautiful Lucie from this novel that our research was named. Polly won’t accept any other name at all. We have reached very near to the end of our mission, our dream, our life. Name really matters no more.
Entries Received for LKNB Contest – V
Entry Id 1138: A Journey to the Heart by Amar Agarwala
Flight lieutenant Vaibhav Sahai, was running late for his flight to Mumbai. As he rushed towards Gate No.26 of Terminal One located at the extreme end of the Frankfurt International Airport, the nagging pain in his left ankle made his progress tardy, it vaguely irritated him for his hand trolley was heavier than he had planned.
At another terminal of the same airport, Tina Ramchand, was rushing too, her connecting flight to Mumbai was scheduled in another half an hour, the air-hostess had verbally informed that her gate would be No.26, stating the change of terminals was due to congestion in Terminal Three, where the flight had landed from Casablanca.
A few minutes to 11:00 a.m., before Gate No.26 finally closed, both passengers almost collided into one another having just reached their check-in gate, it was their final call. Vaibhav, managed to nudge ahead of Tina, and was checked in before her, much to her annoyance. Having to wait, she remarked rather audibly to the flight attendant checking her in, “Talk about chivalry in men,” then she sprinted ahead into the flight alley.
“Wonder if civilians know much about chivalrous behavior,” Vaibhav commented audibly enough as Tina rushed passed him in the alley.
Entry Id 1139: Kendra by Sujata Biswas
Kendra was born in a very rich Brahmin family in the Educational center of east India- the anglicized Calcutta but always called Kolkata. Her family members were either pandits or jute merchants. Kendra was a scholar in literature and like most Calcuttans was a singer. Kendra’s baba, Ramdas Choudhry, a very famous Jute merchant, called her Kokil. Kedra lost her mother at the age of five in the episode of communal violence in Kolkata in1946. This incident had impacted Kendra severely. Being the only child she used to share her life with a very old inherited diary from her Great grandfather who used to work with the Nawabs. She started her day by singing to her father and visiting the Kalibari. Reading 2 pages from her favorite novel her mother used to read- “A Tale of Two Cities” by Charles Dickens was like a ritual for Kendra. Whole day she would spend helping her father in his business.
Their mansion, “Ichaa” was located in the beautiful enthralling banks of Hoogli. Ichaa was surrounded by lush green trees and 2 temples on the adjacent side. Kendra had a small garden and in the center of the garden is where she used to grow red roses, her favorite flower as our very own Panditji Jawaharlal Nehru. Stuck on a small card at one corner of her rose garden was Panditji’s picture. Entire evening she would sit by the garden chanting songs and reading the novel. Ramdas or Choudhryda as his loved ones called him would see his daughter from his room and get worried about her obsession with her book, her garden and her name.
Entries received for LKNB Contest – IV
Entry Id 1121: The Funny Thing Called Love by Vibha Batra
It was the month of August that Anusha decided to take things into her own hands. Some people claim that on Independence Day, she was switching channels, when she came across Nehru’s famous ‘Tryst with Destiny’ speech. And she was inspired. She would keep her trust with destiny indeed. She would act on her desires all right.
Problem was she couldn’t propose to Raghav. How could she? She was a girl, a passably good looking one, at that. And no self-respecting, decent looking girl would go out on a limb and profess her feelings for a guy, no matter how strongly she felt for him. Ego before heart, self before other and all that, you see.
So she did the next best thing. She picked up her biggest weapon, her mobile phone, inserted a brand new sim, changed her voice and called him up. A ‘Secret Admirer’, of course. Did Raghav actually chat with the random caller? How could he not? It was a girl’s voice. And it sounded good. A killer combo, if you ask any boy. He was in the Hot Seat and his feelings for Janani simply had to take a backseat.
Nights melted into days, days melted into weeks. Raghav wanted to meet the girl who stole away his dreams (he felt as if he hadn’t slept in days, hooked as he was to the mobile phone). He demanded a rendezvous. Anusha complied. It was face off time.
Entry Id 1127: The Story of My Love by Kulmohan Kaur
I sat engrossed in my thoughts. As the clock ticked away towards making me a year older, my thoughts flew back to the days when I was just reaching my adolescence. It was during those days of innocence and carefree life that I first saw her. She was the prefect of our school. That day she had won the trophy for the best student and was standing to pose for the camera. I was distracted from the class and tried to get a better look from the window of my class and got told off for doing so. However, the face of the girl remained etched in my thoughts.
In the course of the next few weeks I got glimpses of her various talents, be it as an orator at various debate competitions or as a singer when she sang on Children’s Day. She also gave a speech on why the birthday of Pandit Nehru is celebrated as Children’s Day. I came to know then that it was because he loved children. There must have been many speeches before that day. But this time, the one I loved was speaking and I was bound to pay attention.
I tried to get her attention but nothing I did seemed to be enough. There was only one way I could get a chance to tell her my feelings. I came to know that she loves feeding the pigeons at the corner of the road just before her house. That day I seized the opportunity and went to the place. I too bought seeds for feeding and went up to her. She was surprised to see me but didn’t talk. I took it as a good omen because this meant that she had at least recognized me as her schoolmate. This meant that she took notice of me at school.
Marathi Translation of the “The Golden Bird” for IML Day Drive
By Aniruddha Banhatti
All entries to our IML Day Drive are licensed under CC BY 3.0
सोनेरी पक्षी
एका राजाची बाग फार सुंदर होती. त्या बागेत एका झाडाला सोनेरी सफरचंदं लागायची. या सफरचंदांची नेहमी मोजदाद व्हायची आणि ती पिकायला लागली की रोज रात्री त्यातलं एक गायब व्हायचं. यामुळे राजा फार चिडला आणि माळ्याला त्यानं रात्रभर झाडाखाली पहारा द्यायला सांगितलं. माळ्यानं आपल्या सर्वात मोठ्या मुलाला पहारा द्यायला बसवलं पण तो मध्यरात्री झोपून गेला आणि दुसऱ्या दिवशी एक सफरचंद कमी भरलं. दुसऱ्या दिवशी त्यानं आपल्या मधल्या मुलाला पहाऱ्याला बसवलं, पण मध्यरात्री तो पण झोपून गेला आणि दुसऱ्या दिवशी आणखी एक सफरचंद कमी भरलं. मग धाकट्या मुलानं पहारा देण्याची तयारी दाखवली पण माळी सुरुवातीला त्याला काही इजा होईल म्हणून घाबरून तयार होईना, पण शेवटी त्यानं परवानगी दिली, आणि धाकटा रात्री झाडाखाली झोपून राहिला. घड्याळाचे बाराचे ठोके पडताच त्याला हवेत वर सळसळ ऐकू आली आणि एक पूर्ण सोन्याचा बनलेला पक्षी उडत उडत आला आणि तो जसा आपल्या चोचेनं एक सफरचंद तोडत होता तसा तो मुलगा उडी मारून उठला आणि त्यानं पक्षावर एक बाण सोडला. पण त्या बाणानं त्या पक्षाला काहीच इजा झाली नाही, फक्त त्याचं एक सोनेरी पीस खाली पडलं, आणि तो पक्षी उडून गेला. सकाळी ते पीस राजाकडे नेल्यावर सगळ्या मंत्रिमंडळाची बैठक बोलावण्यात आली. सगळ्यांनी कबूल केलं की ते पीस पूर्ण राज्यातल्या संपत्तीपेक्षा जास्त मौल्यवान होतं: पण राजा म्हणाला, “एक पीस माझ्या काही कामाचं नाही. मला तो पूर्ण पक्षी मिळालाच पाहिजे.”
मग माळ्याचा सर्वात मोठा मुलगा तो सोन्याचा पक्षी आणायला निघाला अन त्याला वाटलं की अगदी सहज आप्ल्याला तो सापडेल; आणि तो थोडं अंतर गेल्यावर त्याला एक जंगल लागलं आणि त्या जवळ एक कोल्हा बसला होता; म्हणून त्यानं धनुष्य काढलं आणि कोल्ह्यावर बाण सोडायला सज्ज केला. तेंव्हा कोल्हा म्हणाला, “मला मारू नकोस; कारण मी तुला चांगला सल्ला देईन; मला माहित आहे तुझं काम काय आहे, आणि तू सोनेरी पक्षी शोधतो आहेस हे सुद्धा! तू संध्याकाळ पर्यंत एका खेड्यात पोहोचशील आणि तुला समोरासमोर असलेल्या दोन खानावळी दिसतील, पैकी एक जी खूप छान आणि आरामशीर दिसेल तिथे तू जाऊ नकोस, रात्री विश्रांतीसाठी दुसऱ्या खानावळीत जा; जरी ती तुला भिकार आणि घाणेरडी वाटली तरी.” पण त्या मुलानं स्वत:शी विचार केला, “या असल्या प्राण्याला अशा गोष्टींबद्दल काय कळतंय?” म्हणून त्यानं त्या कोल्ह्यावर बाण सोडला पण तो कोल्हा शेपूट उंचावून जंगलात पळून गेला. मग तो मुलगा पुढे निघाला आणि संध्याकाळी त्या दोन खानावळी असलेल्या खेड्यापाशी आला; तर एका खानावळीत लोक गात नाचत आणि मजा करत होते, पण दुसरी खानावळ अगदी दरिद्री आणि घाणेरडी दिसत होती. “त्या घाणेरड्या खानावळीत जायला मी काही मूर्ख नाही,” तो म्हणाला, “इतकी मस्त जागा सोडून!”; म्हणून तो त्या मस्त खानावळीत गेला आणि आरामशीरपणे तो खात पीत बसला आणि त्या पक्षाला विसरून गेला आणि आपल्या देशाला सुद्धा.
काळ जात राहिला; आणि सर्वात मोठा मुलगा परत आला नाही, त्याची काही बातमी पण आली नाही तेंव्हा मधला निघाला, आणि सगळं त्याच्या बाबतीतही तसंच घडलं. त्याला कोल्हा भेटला आणि त्यानं त्याला चांगला सल्ला दिला पण जेंव्हा तो त्या दोन खानावळींपाशी आला तेंव्हा थोरला भाऊ जिथे मौज मजा चालली होती त्या खानावळीच्या खिडकीशी उभा होता आणि त्यानं मधल्याला आत बोलावलं; अन त्याला मोह आवरता आला नाही, आणि तो देखील आत शिरला अन तो सोनेरी पक्षी आणि आपला देश सगळं विसरून गेला.
पुन्हा काही काळ गेल्यावर सर्वात लहान मुलाला बाहेरच्या विशाल जगात जाऊन सोनेरी पक्षी शोधण्याची इच्छा झाली; पण बराच काळ त्याचा बाप काही ऐकेना, कारण तो मुलगा त्याचा फार लाडका होता आणि त्याला वाटलं की काहीतरी वाईट घडेल अन तो देखील पुन्हा परत येणार नाही. पण शेवटी असं ठरलं की त्यानं जावं कारण तो घरी थांबेना; अन तो त्या जंगलापाशी आला आणि कोल्ह्यानं त्याला तोच सल्ला दिला. पण त्यानं कोल्ह्याचे आभार मानले आणि आपल्या भावांसारखा त्याचा जीव घेण्याचा प्रयत्न केला नाही; म्हणून कोल्हा म्हणाला, “माझ्या शेपटीवर बस अन तू खूप वेगात जाशील.” म्हणून तो शेपटीवर बसला, आणि कोल्हा पळायला लागला आणि दगडा-धोंड्यांमधून ते इतक्या वेगानं गेले की त्यांच्या केसांचा हवेत शिटी सारखा आवाज येत राहिला.
त्या खेड्यात पोहोचल्यावर त्या मुलानं कोल्ह्याचा सल्ला मानला आणि आजूबाजूला न पाहता तो त्या गचाळ खानावळीत गेला आणि तिथे रात्रभर आरामात राहिला. सकाळी तो प्रवासाला निघत असतांनाच कोल्हा पुन्हा तिथे आला आणि त्याला म्हणाला, “तुला एक किल्ला लागेपर्यंत सरळ पुढे जा, समोर सैनिकांची एक तुकडी गाढ झोपेत घोरत पडलेली असेल: त्यांच्याकडे लक्ष न देता जिथे सोनेरी पक्षी एका लाकडी पिंजऱ्यात बसलेला आहे अशी खोली येईपर्यंत सरळ पुढे पुढे जातच रहा; जवळच एक अतिशय सुंदर सोन्याचा पिंजरा असेल; पण त्या गचाळ पिंजऱ्यातून तो पक्षी काढून त्या देखण्या पिंजऱ्यात ठेवायचा प्रयत्न करू नकोस नाहीतर तू पस्तावशील.” मग कोल्ह्यानं आपली शेपटी पसरली आणि तो मुलगा त्यावर बसला आणि निघाले ते दगड-धोंड्यांमधून अशा वेगानं की त्यांच्या केसांमधून शिटी सारखा आवाज यायला लागला.
किल्ल्याच्या प्रवेशद्वारापाशी सर्व काही कोल्ह्यानं सांगितल्याप्रमाणेच होतं: तर तो मुलगा आत गेला आणि त्याला एका खोलीत तो सोनेरी पक्षी एका लाकडी पिंजऱ्यात टांगलेला दिसला, आणि त्याखालीच सोन्याचा पिंजरा होता आणि ती तीन सोनेरी सफरचंदं देखील शेजारी पडलेली होती. “इतक्या सुंदर पक्षाला इतक्या गचाळ पिंजऱ्यातून नेणं फारच हास्यास्पद वाटेल,” असा विचार करून त्यानं तो पिंजरा उघडला आणि त्या पक्षाला धरून त्या सोन्याच्या पिंजऱ्यात ठेवलं. पण तो पक्षी इतक्या जोरात ओरडायला लागला की सर्व सैनिक जागे झाले, त्यांनी त्याला पकडलं आणि राजासमोर हजर केलं. दुसऱ्या दिवशी सकाळी त्याचा निवाडा करायला न्यायालय बसलं आणि सर्व ऐकून घेतल्यावर त्याला मृत्यूची सजा सुनावण्यात आली, पण जर त्यानं हवेपेक्षा वेगानं दौडणारा सोनेरी घोडा आणून दिला तर त्याची सुटका होणार होती, शिवाय त्याला तो सोनेरी पक्षी सुद्धा देउन टाकण्यात येणार होता.
म्हणून तो पुढच्या प्रवासाला निराश अवस्थेत उसासे टाकत निघाला तेवढ्यात अचानक त्याचा दोस्त कोल्हा त्याला भेटला आणि म्हणाला, “पाहिलंस माझा सल्ला न ऐकल्यानं काय झालं ते. तरीदेखील मी तुला तो सोनेरी घोडा कसा शोधायचा ते सांगतो, जर तू माझ्या सांगण्याप्रमाणे करणार असशील तर. तू सरळ पुढे एक किल्ला लागेपर्यंत जा, तिथे एका तबेल्यात तो सोनेरी घोडा उभा असेल: त्या शेजारीच मोतद्दार गाढ झोपेत घोरत असेल: तो घोडा हळूच तेथून घेउन ये, पण नक्की त्या घोड्याला जुनाट चामडी खोगीरच घाल, आणि शेजारीच असलेलं सोन्याचं खोगीर घालू नकोस.” मग तो मुलगा कोल्ह्याच्या शेपटीवर बसला आणि ते निघाले दगड-धोंड्यांमधून अशा वेगानं की त्यांच्या केसांमधून शिटी सारखा आवाज यायला लागला.
सर्व व्यवस्थित झालं आणि तो मोतद्दार सोनेरी खोगीरावर हात ठेवून घोरत पडला होता. पण जेंव्हा मुलानं घोड्याकडे पहिलं तेंव्हा त्याला ते चामडी खोगीर घोड्यावर घालायची लाज वाटली. “मी त्याला ते चांगलं खोगीरच देतो,” तो म्हणाला, “मला खात्री आहे की तेच त्याला योग्य आहे.” जसं त्यानं ते खोगीर उचललं तसा तो मोतद्दार जागा झाला आणि एवढ्या जोरानं ओरडला की सर्व सैनिक धावत आले आणि त्यांनी त्या मुलाला कैद केलं, आणि सकाळी त्याला न्यायालयात आणलं आणि त्याला मृत्युदंड देण्यात आला. पण जर त्यानं सुंदर राजकन्या तिथे आणली तर त्याला जिवंत सोडावं आणि तो पक्षी व घोडा देखील त्याला देण्यात यावा असं ठरलं.
अतिशय दु:खी होऊन तो आपल्या मार्गानं निघाला; पण तो कोल्हा आला आणि म्हणाला, “तू माझं का ऐकलं नाहीस? जर ऐकलं असतंस तर तुला घोडा व पक्षी दोन्ही नेता आले असते, पण तरीही मी आणखी एकदा तुला सल्ला देतो. सरळ पुढे जा आणि संध्याकाळपर्यंत तुला एक किल्ला लागेल. रात्री बारा वाजता राजकन्या स्नानगृहात जाते: तिच्याजवळ जाऊन तिला एक चुंबन दे, आणि ती तिला तुझ्याबरोबर घेऊन जाऊ देईल; पण काय वाटेल ते झालं तरी तिला तिच्या आई-बाबांचा निरोप घेऊ देऊ नकोस.” मग कोल्ह्यानं आपली शेपटी पसरली आणि तो मुलगा त्यावर बसला आणि निघाले ते दगड-धोंड्यांमधून अशा वेगानं की त्यांच्या केसांमधून शिटी सारखा आवाज यायला लागला.
ते किल्ल्यापाशी आले तर सर्व कोल्ह्यानं सांगितल्याप्रमाणेच होतं, आणि बारा वाजता तो तरुण मुलगा अंघोळीला जाणाऱ्या त्या राजकन्येला भेटला आणि त्यानं तिला चुंबन दिलं, आणि ती त्याच्याबरोबर पळून जायला तयार झाली पण डोळ्यात अगदी अश्रू आणून ती जाण्यापूर्वी आपल्या वडिलांचा निरोप घेण्याची परवानगी मागायला लागली. सुरुवातीला त्यानं नकार दिला पण ती जास्तच रडायला लागली आणि अगदी त्याच्या पायावर पडली, आणि शेवटी त्यानं परवानगी दिली, पण ते तिच्या वडिलांच्या महालाजवळ येताच पहारेकरी जागे झाले आणि तो कैदेत पडला.
मग त्याला राजासमोर आणण्यात आलं आणि राजा म्हणाला, “जर तू माझ्या खिडकीतून नजरेआड येणारी टेकडी आठ दिवसात सपाट केलीस तरच तुला राजकन्या मिळेल नाहीतर कधीच नाही.” आता ही टेकडी एवढी मोठी होती की पूर्ण जग सुद्धा ती हलवू शकलं नसतं: आणि सात दिवस कष्ट करून सुद्धा अगदी थोडं काम झालं होतं तेंव्हा कोल्हा पुन्हा आला व म्हणाला, “तू आता पड, आणि झोपून जा, मी तुझं काम करतो.” अन सकाळी तो उठला तेंव्हा टेकडी नाहीशी झाली होती; त्यामुळे तो आनंदानं राजाकडे गेला आणि त्यानं राजाला सांगितलं की आता टेकडी नाहीशी झाली असल्यानं राजानं त्याला राजकन्या द्यायलाच हवी.
मग राजाला आपला शब्द पाळावा लागला आणि तो तरुण मुलगा आणि राजकन्या जायला निघाले; अन तो कोल्हा आला आणि म्हणाला, “आपण तीनही घेऊन जाऊ, राजकन्या, घोडा आणि पक्षी.” “आहा!” मुलगा म्हणाला, “ते तर फारच उत्तम होईल पण हे तू कसं साध्य करू शकतोस?”
“तू फक्त ऐकशील,” कोल्हा म्हणाला, “तर ते शक्य होईल. तू राजाकडे जाशील तेंव्हा त्याला म्हण ‘हे पहा ही राजकन्या!’ तर तो खूष होऊन तुला सोनेरी घोडा देईल त्यावर स्वार होऊन तू निरोपासाठी सर्वांशी हात मिळव पण राजकन्येचे हात सर्वात शेवटी हाती घे. तिला उचलून आपल्यामागे घोड्यावर घे, घोड्याला टाच मार आणि तुला शक्य तेवढ्या वेगानं दौडत दूर जा.”
सर्व व्यवस्थित झालं: मग कोल्हा म्हणाला, “जेंव्हा तू पक्षी असलेल्या किल्ल्यापाशी येशील तेंव्हा मी व राजकन्या बाहेरच थांबू, तू दौडत आत जा आणि राजाशी बोल; जेंव्हा तो खरोखरीच सोनेरी घोडा पाहिल तेंव्हा तो पक्षी बाहेर आणेल; तेंव्हा तू तसाच बसून रहा आणि तो सोनेरी पक्षी खरा आहे नं ते पाहायला तो पक्षी माग; अन तुझ्या हाती तो पक्षी येताच दौडत बाहेर ये.”
हेसुद्धा कोल्ह्यानं सांगितल्याप्रमाणेच घडलं; पक्षी घेऊन ते निघाले, राजकन्या पुन्हा घोड्यावर बसली आणि ते दौडत एका प्रचंड जंगलापाशी आले. मग कोल्हा आला आणि म्हणाला, “कृपया मला ठार कर, आणि माझं डोकं आणि पाय कापून टाक.” पण त्या मुलानं असं करायला नकार दिला: तर तो कोल्हा म्हणाला, “तरीही मी तुला योग्य सल्ला देतो: दोन गोष्टींपासून सावध रहा; कुणाची सुटका करण्यासाठी दंडाचे पैसे भरू नकोस आणि कुठल्याही नदीकाठी बसू नकोस.” आणि तो निघून गेला. “ठीक आहे,” मुलगा म्हणाला, “इतका काही कठीण सल्ला नाही.”
राजकन्येबरोबर तो दौड करत त्याचे दोघे भाऊ जिथे होते त्या खेड्यापाशी आला. तिथे त्याला प्रचंड कोलाहल ऐकू आला; आणि त्यानं काय प्रकार आहे विचारल्यावर लोक म्हणाले, “दोन जणांना फाशी देणारैत.” जसा तो जवळ आला तसं त्याला दिसलं की ते दोन जण म्हणजे आता दरोडेखोर बनलेले त्याचे भाऊ आहेत; तर तो म्हणाला, “त्यांना कुठल्याच प्रकारे वाचवलं जाऊ शकत नाही का?” तर लोक म्हणाले, ‘नाही’, पण आपल्या जवळचे सर्व पैसे त्यानं दिले तरच त्या गुंडांना स्वातंत्र्य मिळणार होतं. तर तो विचार करायला थांबला सुद्धा नाही, आणि त्यानं आपले सर्व पैसे देताच त्याचे भाऊ मुक्त झाले आणि त्याच्या बरोबर घराकडे निघाले.
मग जिथे त्यांना कोल्हा अगदी आधी भेटला होतं त्या जंगलाशी ते आले, अन इतकी छान आणि सुखद हवा सुटली होती की ते भाऊ म्हणाले, “चला, आपण या नदीकाठी खाऊ पिऊ अन थोडी विश्रांती घेऊ.” त्यावर तो कोल्ह्याचा सल्ला विसरला आणि “हो” म्हणाला आणि नदीकाठी बसला आणि त्याला काहीही संशय येऊ न देता ते दोघे गुपचूप त्याच्या मागे आले आणि त्यांनी नदीकाठावरून त्याला आत ढकलून दिलं आणि ते राजकन्या, घोडा आणि पक्षी घेऊन आपला स्वामी जो राजा त्याच्याकडे आले आणि त्याला म्हणाले, “आमच्या पराक्रमानं आम्ही हे सगळं जिंकून आणलं आहे.” मग काय, मोठा उत्सवच तिथे साजरा झाला; पण तो पक्षी गाणं गाईना, घोडा चारा खाईना आणि राजकन्येचे अश्रू थांबेनात.
धाकटा मुलगा नदीच्या तळाशी पडला: सुदैवानं नदी जवळजवळ कोरडी होती, पण त्याची हाडं जवळजवळ मोडली आणि काठ इतका उंच होता की त्याला वर येता येईना. तसं पुन्हा तो कोल्हा आला आणि माझं ऐकलं नाहीस, नाहीतर तू संकटात पडला नसतास, म्हणून त्याला खूप रागावला. “तरीही,” तो म्हणाला, “मी तुला इथे सोडून जाऊ शकत नाही, तर तू माझी शेपटी पकड आणि घट्ट धरून ठेव.” मग त्यानं त्याला ओढून वर काढलं अन तो काठावर आल्यावर त्याला म्हणाला, “तुझ्या भावांनी तुझ्यासाठी पहारा बसवलाय आणि तू राज्यात दिसताच तुला ते मारून टाकतील.” म्हणून तो एका गरीब माणसाचा वेष घेऊन गुप्तपणे राजवाड्यात आला, पण तो प्रवेशद्वारातून आत येताच घोडा चारा खायला लागला, पक्षी गाणं गायला लागला आणि राजकन्येनं रडणं थांबवलं. मग तो राजाकडे गेला आणि त्यानं आपल्या भावांचं सगळं कपट राजाला सांगितलं; अन त्यांना बंदी बनवून शिक्षा देण्यात आली, अन त्याला राजकन्या पुन्हा मिळाली; आणि राज्याच्या मृत्युनंतर त्याला राज्याभिषेक करण्यात आला.
बऱ्याच काळानंतर एकदा तो जंगलात फिरायला गेला असतांना त्याला तो कोल्हा भेटला अन त्यानं अगदी डोळ्यात पाणी आणून त्याला आपल्याला ठार करून डोकं आणि पाय कापण्याची विनंती केली. आणि शेवटी त्यानं तसं केलं आणि क्षणातच त्या कोल्ह्याचं माणसात रुपांतर झालं, अन तो त्या राजकन्येचा खूप खूप वर्षांपूर्वी हरवलेला भाऊ निघाला.
Tamil Translation of “The Golden Bird” for IML Day Drive
By Rekha
All entries to our IML Day Drive are licensed under CC BY 3.0
தங்கப்பறவை
ஒரு அரசனின் அழகிய நந்தவனத்தில் ஒரு மரம் தங்க அரத்திப்பழங்கள் தாங்கி நின்றன.அந்த பழங்களின் எண்ணிக்கை நிதமும் கணக்கில் வைக்கப்பட்டு இருந்தது. அவை கனிந்து வரும் நேரம் , ஒரு இரவு ஒரு பழம் குறைந்து இருப்பது கண்டுபிடிக்கப்பட்டது .இதை அறிந்து மிகுந்த கோபமுற்ற அரசன் தோட்டக்காரனை இரவு முழுவதும் மரத்தின் கீழ் காவலுக்கு நிற்கும்படி ஆணையிட்டார்.தோட்டக்காரன் தனது மூத்த மகனை காவலுக்கு இருக்கும்படி செய்தான் அவனோ நள்ளிரவில் கண் அயர்ந்து தூங்கிவிட்டான். காலையில் மற்றொரு பழம் காணாமல் போயிருந்தது .மறுநாள் இரவு, தோட்டக்காரன் தன் இரண்டாவது மகனை காவலுக்கு இருக்கும்படி செய்தான் . அவனும் நள்ளிரவில் தூங்கி விடவே மற்றுமொரு பழம் காணாமல் போனது .தோட்டக்காரன் இறுதியாக அரை மனதோடு தனது இளைய மகனை காவலுக்கு இருக்கும்படி செய்தான்.
நள்ளிரவில் காற்றில் இலை அசையும் ஓசை கேட்டு எழுந்தான் அவன்.அப்பொழுது ஒரு அழகிய தங்கப்பறவை அந்த மரத்தின் கிளையில் பறந்து வந்து அமர்ந்து அதன் அலகால் ஒரு பழத்தை கொய்தது.உடனே அந்த தோட்டக்காரனின் மைந்தன் ஒரு அம்பு அந்த தங்கப்பறவையை நோக்கி எய்தான் .ஆனால்,அந்த தங்கப்பறவை எந்த காயமும் இன்றி அங்கிருந்து ஒரு தங்கச்சிறகை உதிர்த்து அங்கிருந்து பறந்தது. காலையில், அந்த தங்கச்சிறகு அரசவைக்கு கொண்டு வரப் பட் டது .அதன் மதிப்பு ராஜ்யத்தின் மொத்த மதிப்பைக் காட்டிலும் பன்மடங்கு உயர்ந்தது என்று தெரிய வந்தது. இருந்தும் அந்த அரசனோ தனக்கு அந்த பறவையே வேண்டும் என்று ஆணையிட்டான் .பிறகு அந்த தோட்டக்காரனின் மூத்த மகன் அந்த பறவையைக் கண்டு பிடிப்பது எளிது என்று கருதி காட்டிற்கு புறப்பட்டான்.
அந்த காட்டில் ஒரு நரி உட்கார்ந்து இருப்பதைக் கண்டான்.உடனே தனது வில்லை எடுத்து அம்பு எய்த முற்பட்டான்.அந்த நரியோ , “என்னை விட்டுவிடு , நீ எதற்காக இங்கு வந்தாய் என்பது எனக்கு தெரியும்.நான் சொல்வதை கேட்டால் நீ வந்த வேலை எளிதில் முடியும் , என்னை நம்பு .நீ செல்லும் வழியில் ஒரு கிராமம் வரும் அங்கே இரு குடில்களைக் காண்பாய் அதில் ஒன்று மிக அழகாக ரம்யமாக இருக்கும் அதனுள் செல்லாதே , மற்றொன்றோ பாழ் அடைந்த நிலையில் இருக்கும் அதில் இந்த இரவைக் கழித்து விட்டு செல் .” என்றது. ஆனால், அந்த தோட்டக்காரனின் முதல் மகனோ இந்த மிருகத்திற்கு எப்படி இத்தனை விஷயமும் தெரிய போகிறது, என்று எண்ணி தன் வில்லால் அம்பு தொடுத்தான் .அனால் குறி தவறியது.அந்த நரியோ தன் வாலை மேலே தூக்கி காட்டிற்குள் பதுங்கி ஓடியது.
அந்த நரி கூறியது போல் , காட்டில் ஒரு கிராமமும் அதில் இரு குடிலும் இருந்தது. அதில் அழகான ஒரு குடிலில் மக்கள் அனைவரும் ஆடல் பாடல் என கேளிக்கையில் மகிழ்ந்து உணவு அருந்துவதைக் கண்டு அந்த தோட்டக்காரனின் மகன் உள்ளே சென்று தன்னையும், நரியின் வார்த்தையையும், அரசகட்டளையையும் மறந்தான்.அவன் வீட்டிற்கு திரும்பவே இல்லை.
பிறகு, தோட்டக்காரன் தன் இரண்டாவது மகனை அந்த தங்கப்பரவையை தேடி வருமாறு அனுப்பினான்.அந்த நரியை அவனும் கண்டான் ,அந்த நரியின் சொற்படி நடக்கவே முனைந்தான். ஆனால், அந்த கிராமத்தை அடையும் போது, அவனுடைய அண்ணன் அழகிய குடிலின் வாயிலில் இருந்து அழைப்பதை தவிர்க்க முடியாமல் உள்ளே சென்றான்.அவனும் அரசகட்டளையை மறந்தான்.
காலம் சென்றது ,ஆனால் தன் முதல் இரு மகன்களும் திரும்பவே இல்லை .இப்பொழுது மூன்றாவது மகனுக்கு அந்த தங்கப்பறவையை கைப்பற்ற வேண்டும் என்ற பேரவா எழுந்தது.ஆனால், தோட்டகாரனுக்கோ தன் மூன்றாவது மகனையும் இழந்து விடுவோமோ என்ற அச்சத்தில் வெகு நாள் மறுப்பிற்கு பிறகு சம்மதித்தார்.
மூன்றாவது மகனும் அந்த நரியை கண்டான்.அதன் சொல்லை கேட்டு நன்றியுடன் அங்கிருந்து செல்ல முற்பட்டான்.அந்த நரியும் ,” நீ என் வாலில் உட்கார் நான் உன்னை விரைவாக அழைத்து செல்கிறேன்” என்று தன் வாலை நீட்டியது.அவனும் அதில் அமர்ந்து மின்னலென கிராமத்தை அடைந்தான். அங்கே இரவை பாழ் அடைந்த குடிலில் கழித்தான்.
காலையில், அவன் அந்த கிராமத்தை விட்டு செல்ல முற்படும்போது , நரி மீண்டும் அவனை சந்தித்து உபதேசித்தது .”நீ போகும்வழியில் ஒரு கோட்டையை சென்றடைவாய் அங்கே காவலாளியர் கூட்டம் ,கடமை மறந்து உறங்கி கொண்டு இருப்பார்கள் .அவர்களை பாராமல் கோட்டைக்குள் செல்வாய் , அங்கே ஒரு மரத்தாலான கூண்டில் அந்த தங்கப்பறவையைக் காண்பாய்.மறந்தும் அந்த பறவையை அருகே இருக்கும் தங்கக்கூண்டில் மாற்றி எடுத்து வர எண்ணாதே ,
இல்லையேல் வருத்தப்படுவாய் ” என்றது.தன் வாலை நீட்டவே அவன் அந்த கோட்டையை விரைவாக அடைந்தான். நரி சொன்னது போல் , காவலர்களை பொருட்படுத்தாது உள்ளே சென்றான் அந்த அழகிய தங்க பறவையை பார்த்து அதிசயித்தான் .அதன் அருகே காணாமல் போன மூன்று பழங்களும் இருந்தன. அதே வேளையில் , நரியின் சொல்லை மறந்து அந்த பறவையை தங்க கூண்டில் எடுத்து வர முற்பட்டான்.அப்போது அந்த தங்க பறவை பெரும் ஒலியை எழுப்பி அந்த அரண்மனையின் அனைத்து காவலரையும் எழுப்பியது.அவன் அரசன் முன் கொண்டு நிறுத்தப்பட்டான்.அவனுக்கு மரண தண்டனை விதிக்கப்பட்டது .அவன் காற்றை விட விரைந்து செல்லும் தங்க குதிரையை கொண்டு வந்து தந்தால், அவன் உயிர் பிழைத்து செல்லலாம் என்று அரசன் ஆணையிட்டான்.மேலும் அந்த தங்க பறவையையும் கொண்டு செல்லலாம் என்று அரசன் அறிவித்தான்.
மிகுந்த மன உளைச்சலுக்கு பிறகு அவன் அந்த தங்க குதிரையை தேட முற்பட்டான் .அப்பொழுது அவன் சற்றும் எதிர்பாராமல் அந்த நரியைக் கண்டான்.அந்த நரி அவன் செய்த பிழையை பொருத்து மீண்டும் அவன் பயணத்தை தொடர அவனுக்கு உபதேசம் செய்தது.”நீ நேரே செல் அந்த தங்க குதிரையின் லாயத்தை காண்பாய் அந்த குதிரையின் அருகே ஒரு மணமகன் அந்த குதிரையின் தங்க சேணத்தின் மேல் கை வைத்து தூங்கிக் கொண்டிருப்பான்.மறந்தும் அந்த குதிரைக்கு தங்க சேணத்தை போர்த்தாதே இல்லையேல் வருந்துவாய் ” , என்று தன் வாலை நீட்டியது .அவன் அந்த நரியின் மேல் ஏறி மின்னலென குதிரை லாயத்தை அடைந்தான்.அப்போதும் அவன் நரியின் சொல்லை மறந்து .தங்க குதிரைக்கு தங்க சேணமே பொருந்தும்.தோல் சேணம் பொருந்தாது என்று எண்ணி அந்த தங்க சேணத்தை எடுக்க முற்பட்டான்.அப்போது தூக்கம் கலைந்த அந்த மணமகன் சத்தம் போட்டு காவலாளிகளை அழைத்து அவனை சிறை பிடித்து அரசன் முன் கொண்டு வந்து நிறுத்தினர்.அவன் இம்முறை அரசகுமாரியை கொண்டு வந்தால் , அவன் அந்த குதிரையையும் , பறவையையும் கொண்டு உயிர் பிழைத்து செல்லலாம் என்று அரசன் ஆணையிட்டான்.
மீண்டும் அந்த நரியை எதிர்பாராமல் சந்தித்தான் அந்த நரியும் மீண்டும் அவன் பிழை பொருத்து அவனுக்கு உபதேசம் செய்தது. “நீ நேரே செல் அந்த அரண்மனையை மாலையில் அடைவாய் , அப்போது நீ காத்திருந்து அந்த அழகிய அரசகுமாரி அந்தப்புரத்தில் நள்ளிரவு குளிப்பதற்கு செல்வாள் .அப்போது நீ அவளை முத்தமிட்டால் அவள் உன்னுடன் வர சம்மதிப்பாள். ஆனால் அவளை தன் அம்மா அப்பாவை கண்டு பிரியாவிடை கொடுக்க சம்மதிக்காதே இல்லையேல் நீ வருந்துவாய் “என்று தன் வாலை நீட்டியது.மின்னலென அந்த அரண்மனையை அடைந்த அந்த தோட்டக்காரனின் மூன்றாவது மகன் நரி சொன்னது போல் நள்ளிரவு வரை காத்திருந்து அந்த அழகிய அரசகுமாரியை முத்தமிட்டான்.அவள் அவனுடன் ஓடி வர சம்மதித்தாள் ஆனால் தன் தந்தை தாயிடம் விடை பெற்ற பிறகே அங்கிருந்து வர முடியும் என்று கெஞ்சி அழுதாள்.அதனால் மனமிரங்கி அந்த நரியின் சொல்லை மறந்து அனுமதி அளித்தான்.தன் தந்தையை காண முற்படும்போது தூக்கம் கலைந்த அரசனிடம் பிடிபட்டான் அவன்.
இம்முறை அரண்மனையின் ஜன்னலின் அழகிய இயற்கை காட்சியை மறைக்கும் பெரிய மலையை எட்டு நாட்களுக்குள் கொடைந்தால் , தங்க பறவை , குதிரை மற்றும் அரசகுமாரி அனைத்தையுமே தனக்கு சொந்தமாக்கி கொள்ளலாம் என்றான் அரசன்.இதை அறிந்த நரி , “நீ கவலை படாதே நாளை காலை இந்த மலை இங்கிருக்காது அதை நான் பார்த்து கொள்கிறேன்.நீ போய் தூங்கு.”என்றது. அவனும் நரி கூறியது போல் செய்தான் அந்த மலையும் காலையில் மறைந்தது. “ஆஹா!, நாம் இப்போது இந்த மூன்றையும் அடைந்து விடலாம் ” ,என்று ஆனந்தம் அடைந்தான். “இப்போதுதான் நாம் மிக கவனமாக செயல்பட வேண்டும் என்றது அந்த நரி.” அந்த அரசன் உன்னிடம் தன் மகள் தனக்கு வேண்டும் என்று சொன்னால்கூட நீ மறுப்பு கூறாமல் ஒப்புக்கொண்டு அவளிடம் விடை பெருவதாககக் கூறி அவளை குதிரை மேல் ஏற்றிகொள்.அங்கிருந்து விரைந்து செல்.” அரசகுமரியுடன் நான் நிற்கிறேன் , நீ அரசனிடம் சென்று அந்த தங்க பறவையை பெற்று கொண்டு வா என்றது அந்த நரி. அப்போது, அந்த அரசன் முதலில் தகுதியான குதிரை தான் நீ கொண்டு வந்தாயா என்று சோதித்து பார்க்க தன் கையில் தங்க பறவையை வைத்து கொண்டு காத்திருப்பான் . நீ அப்போது அந்த தங்க பறவை தானா என்று நான் சோதிக்க வேண்டும் என்று கூறி அந்த தங்க பறவையையும் கவர்ந்து வந்துவிடவேண்டும். “என்றது அந்த நரி.
அந்த நரி கூறியது போல் கேட்ட அவன் அரசகுமாரியுடன் தங்க பறவையை அந்த தங்க குதிரையில் கவர்ந்து வந்தான்.இப்போது அந்த நரி ,”நான் உன்னை வேண்டி கேட்கிறேன் என்னை கொன்றுவிடு “என்று சொன்னது .ஆனால் அவனோ நன்றியுடன் விடை பெற்று செல்ல முற்பட அந்த நரி “நீ செல்லும்போது எந்த நதி கரையிலும் இளைப்பாற வேண்டாம் , வேறு யாரையும் குதிரையில் ஏற்றதே , இல்லையேல் வருந்துவாய்”, என்றது . அப்படி செல்வது மிக எளிது என்று எண்ணிய அவன் மறுபடியும் அவன் முதலில் இளைப்பாறிய கிராமத்தை வந்தடைந்தான்.அங்கே கிராம மக்கள் இரு கள்வர்களை தூக்கிலிட முற்பட்டபோது ,அவர்களை காப்பாற்ற எண்ணினான் . அவர்கள் அவனுடைய இரு சகோதரர்கள் என்று உணர்ந்தான். அவர்கள் களவாடி சென்ற அனைத்து செல்வங்களையும் திருப்பி அளிக்கும்போது மட்டுமே அவர்களை விடுவிக்க முடியும் என்று கூறினார்.அதே போல் செய்தனர்.உயிர் பிழைத்த சகோதரர்களோ தங்களது தம்பியை ஆற்றங்கரை அழகாக உள்ளது இங்கே இளைபாரலாம் என்று சொல்லி அவனை அவன் வென்று வந்த குதிரை , பறவை அரசகுமாரி அனைத்தையும் மறக்க வைத்து அவனை ஆற்றில் மூழ்க விட்டு கொல்ல பார்த்தனர்.
அப்போது அங்கே வந்த நரி அந்த தோட்டக்காரனின் இளைய மகனை தன வாலை நீட்டி காப்பாற்றியது. ஊருக்குள் அவனை தேடி அவன் சகோதரர்கள் ஆட்கள் ஏற்பாடு செய்திருப்பதாகவும் , அவன் வென்று வந்த தங்க பறவை தங்க குதிரை மற்று அரசகுமாரி அனைத்தையும் தாங்கள் வென்றதாகக் கூறி குதூகலத்தில் ஆழ்ந்திருப்பதாக கூறியது.இதை கேட்டு அவன் ஆச்சர்ய முற்றான் . அப்போதும் அந்த நரி , “நான் உன்னை வேண்டி கேட்கிறேன் என் தலையை , கையை , கால்களை வெட்டு” என்றது.அவனும் அவ்வாறே செய்தான் அப்போது அந்த நரி அந்த அரசகுமாரியின் சகோதரனாக மாறியது.அவர்கள் இருவரும் மாறு வேடமுற்று அரசனிடம் சென்று முறையிட்டனர் .அரசரும் அத்தனை நாட்களாக உண்ணாமல் இருந்த பறவை , குதிரை மற்றும் அரசகுமாரி உணவு உட்கொள்வதாக சேதி கேட்டவுடன் இது தோட்டக்காரனின் இளைய மகனின் உழைப்பினால் கிடைக்கபெற்ற செல்வம் என்பதனை உணர்ந்தான். அந்த அரசனின் ஆட்சியுரிமை அரசரின் மறைவிற்குப்பின் அந்த தோட்டக்காரனின் இளையமகனுக்கே வழங்கப்பட்டது.
சுபம்
Entries received for LKNB Contest – III
Entry Id 1113: Love Knows No Bounds by Eva Bell
Colonel Rohan Singh had completed his last recce along the LOC, and returned to his bunker. It had been his home for three long years. His inexhaustible source of encouragement against the threat of terrorists on one hand and the blistering cold on the other, had come from the memory of a beautiful doe-eyed damsel. Night after night when the fear of militant guns kept him awake, he would conjure up the face of a feisty young woman, who had wrapped him around her little finger with her captivating voice and exuberance. Now that his battalion would be moving to warmer climes and to civilization, he would track her down.
“If only I had a homing pigeon to carry a message telling her that she has never been out of my thoughts! For all I know, she would burst into peals of laughter and say ‘Of all the modern contraptions available, must this romantic fool contact me through a pigeon?’ I’ll find her wherever she is and convince her that she’s the girl for me.”
Before this posting, Rohit had been A.D.C. to the Governor of Karnataka. He was the pick of the crop by virtue of his excellent work, charismatic personality and impeccable manners. Tall and well- built, with a well chiseled nose and features, he could have easily passed off as Nehru’s progeny. That was what Aarthi had blurted out on their very first meeting.
“Gosh! If Nehru and Edwina had cohabited, I’m sure they would have had a son just like you. Are you by any chance related to any one of them?”
Rohan had been stunned speechless for a while. His face had coloured up like a beetroot.
“If only this cheeky girl wasn’t the Governor’s niece I’d have tweaked her nose until it hurt. Doesn’t she realise that I’m not a playboy but a respected officer in the Army?”
Then she had smiled, and that smile had erased every trace of impudence.
Entry Id 1119: A Class Apart by Hema Gollamudi
The sound of the flapping wings and the guttural noise, made Suchitra, sitting on a settee by the window, turn her head and look out. The darned bird was perched on the parapet of the balcony next to the tulsi and pecking into the soil in the pot. She rapped her knuckles on the window pane. It worked. But, the stretching out left wing of the pigeon almost got the pot. It gave the slightest of shakes, making her start unfolding her leg from under her, before it settled down.
What a day to spend the Sunday. She would rather have been arguing and teasing Arvind than be chasing the city pests from messing her balcony. She caught her breath as the thought entered her mind. She said aloud, “What was that again? But,…but…how can that be?” She jumped out of the bean bag, throwing the book in her hand to the floor, and paced a few steps around the room. Her ankle length crinkle skirt twirled as she walked about. She stopped at the mirror at her dressing table and looked up to see tears streaming down her eyes. She stood there staring at her reflection and wiped her wet face with the back of her hand in a quick swish. She paced about some more. She seemed to make her mind up as she picked up her mobile phone from the bean bag.
Almost as soon as she picked it, she threw it back. She picked up the phone again and looked for a number. She pressed ‘call’ and quickly disconnected it. She thought a minute and dialed again. She got the response “The number you are trying to reach has been switched off”. She said loudly, “No!” She flopped on her bed and buried her face in her hands. Few moments later, she looked up wiped her face and dialed another number on the phone.
“Hello Shweta”, she said not waiting to hear a response on the other end.
“Hi Suchi!! What a long time. You finally remembered me. What’s up? Are you alright?”
As soon as she heard the concern in her friend’s voice, Suchitra almost cried again. She said in a hurry, “Where is that damned brother of yours? Arvind?”